Skip to main content

তাহসান নিজেই হবু স্ত্রীর ছবি শেয়ার করলেন


 

শনিবার সারা দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চিত বিষয় ছিলেন তাহসানের বিয়ের খবর। বিয়ের খবর হিসেবে ছড়ালেও বিষয়টি নাকচ করেন তাহসান। প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, ‘এখনো বিয়ে হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।’

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে নতুন একটি ছবি শেয়ার করে তাহসান একটি গানের পঙ্ক্তি জুড়ে দেন।

তিনি লিখেছেন কোনো এক ছুটির দিনে যখন আমি পিয়ানোতে/ আমার সুরে নাচের মুদ্রায়, সেই তুমি কে?/ যার ছন্দের মুগ্ধতায় কেটে যাবে বাকিটা জীবন/ ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে, সেই তুমি কে?
তার মানে তাহসান আবারও নিশ্চিত করছেন রোজার সঙ্গে তিনি ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে আজ সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাহসান রোজার একাধিক ছবি ভাইরাল হয়। তাতে নেটিজেনরা শুভেচ্ছা ভালোবাসা জানাতে থাকেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। এমনও লিখেছেন কেউ কেউ, অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেয়েছেন তাহসান। তাঁর সেই প্রিয় গান যেন অবশেষে সত্য হয়ে ধরা দিল!’


একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোজা আহমেদ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। রোজা নিউইয়র্কে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করে পরবর্তী সময়ে নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা বলেও জানান তাহসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোজা বেশ জনপ্রিয়, অসংখ্য অনুসারী রয়েছে তাঁর।

প্রায় ১৮ বছর আগে ২০০৬ সালের আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান অভিনেত্রী মিথিলা। এরপর ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তাঁরা কন্যাসন্তানের মাবাবা হন। পরে ২০১৭ সালের অক্টোবর বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাহসান। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এদিন দুপুরে তাহসান মিথিলা যৌথভাবে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সাবেক এই দম্পতির বিচ্ছেদের বিষয়টি তাঁদের অনেক ভক্ত সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। পরে মিথিলা ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিতকে বিয়ে করেন।

 

Comments

Popular posts from this blog

এক্ষুনি কাজি ডাকেন, আজই ওদের বিয়ে দেব..

  ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। সেই সময় মহাখালী ডিওএইচএসের ৩১ নম্বর রোডে থাকতেন ওমর সানী আর মৌসুমী থাকতেন ৩২ নম্বর রোডে। তখন তুমুল গুঞ্জন উঠেছিল ওমর সানী ও মৌসুমীর প্রেম-বিয়ে নিয়ে। কিন্তু তখনো তাঁরা বিয়ে করেননি। তবে দুই পরিবারের সদস্যরা এ গুঞ্জন সম্পর্কে জানতেন। তখন বিয়ে নিয়ে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এলেন মৌসুমীর নানি ও ওমর সানীর মা। সে ঘটনাও ছিল বেশ মজার। মৌসুমীর শুটিংয়ে মাঝেমধ্যে তাঁর নানি আসতেন। এভাবেই ওমর সানীর মায়ের সঙ্গে মৌসুমীর নানির পরিচয়। এ পরিচয় থেকেই ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই দুই নায়ক–নায়িকার মা ও নানির মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হতো। তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো ছিল। তাঁরা ছেলে ও নাতনির প্রেমের গুঞ্জন শুনে সম্পর্ক জোড়া দিতে এগিয়ে আসেন। তত দিনে ওমর সানীর মা মৌসুমীকে ভীষণ পছন্দ করে ফেলেছেন। অন্যদিকে মৌসুমীর কাছে ওমর সানীর প্রশংসা করতেন তাঁর নানি। এভাবে দুই তারকার মধ্যে প্রেমটা আরও বেড়ে যায়। ওমর সানী ও মৌসুমী ছবি: ফেসবুক এদিকে মৌসুমীর মা কখনোই চাইতেন না সিনেমার কেউ তাঁর মেয়েকে বিয়ে করুক। তিনিও একসময় রাজি হন। কারণ, মৌসুমীর নানিই ছিলেন দুই পরিবারের মূল মধ্যস্থতাকারী। তাঁকে পছন্দ করতেন সবা...

আগুন দেওয়া হয়েছে ৩২ নম্বরে, নেওয়া হয়েছে ক্রেন

  ভাঙচুরের এক পর্যায়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলায় আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেখানে আগুন দেওয়া হয়। এর মধ্যে চলছে ভাঙচুর। রাত ১১টার সময়ও সেখানে আগুন জ্বলছে। ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাত পৌনে ১১টার দিকে সেখানে বড় একটি ক্রেন আনা হয়েছে। পরে সেখানে আরেকটি এক্সকাভেটর নেওয়া হয়েছে। ৩২ নম্বরের এই বাড়ির পাশের একটি ভবনের এক পাশেও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে এই ক্রেন। আজ বুধবার রাতে ছবি: ড্রিঞ্জা চাম্বুগং ৩২ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলা ও দোতালায় অনেক মানুষ রয়েছেন। বাড়িটির দেয়াল ভাঙছেন কেউ কেউ। অনেকে হাতুড়ি বা লাঠি দিয়ে বাড়িটির সীমানাদেয়াল ভাঙছেন। কিছু মানুষকে জানালার গ্রিল, কাঠ এসব নিয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেক মানুষ বাড়িটির সামনে আসছেন, কিছুক্ষণ দেখে, ছবি তুলে ও ভিডিও করে কেউ কেউ চলে যাচ্ছেন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয়েছে ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ রাত ১১টার সময়ও বাড়িটির সামনে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান করছেন। তাঁরা স্বৈরাচারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন...