Skip to main content

৮–১০ জন মিলে এলোপাতাড়ি কোপ, বাঁচার আকুতি ব্যবসায়ীর

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিপণিবিতান মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

 

চাপাতি হাতে ৮–১০ জন সন্ত্রাসী এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে। সেই ব্যক্তি চিৎকার করে বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিপণিবিতান মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, চাপাতির আঘাতে আহত ব্যক্তির নাম এহতেশামুল হক। তিনি মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির ব্যবসায়ী নেতাদের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় ‘ইমন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা’ এহতেশামুল হককে চাপাতি দিয়ে কোপায়।

এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল হাসান। শনিবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ব্যবসায়ী এহতেশামুল মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি থেকে বেরিয়ে সড়কে এলে একদল ব্যক্তি তাঁকে রাস্তায় ফেলে চাপাতি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় তিনি গাড়ি নিয়ে মাল্টিপ্ল্যানের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে রাস্তায় এলে তাঁর (ওয়াহিদুল) ওপরও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয়।

ওয়াহিদুল হাসানের অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর ইমন গ্রুপের লোকজন এহতেশামুল হক ও তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির একজন সদস্য থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন। চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে শনিবার দুপুরে মানববন্ধন করেন বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোডের ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধন থেকে তাঁরা অবিলম্বে ব্যবসায়ী এহতেশামুলের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।




ব্যবসায়ী এহতেশামুল হকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি মানববন্ধন করেন বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোডের ব্যবসায়ীরা। ঢাকা, ১১ জানুয়ারি

ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির নেতা এহতেশামুল হককে দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে গেছে, এমন খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু দুর্বৃত্তরা পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, কয়েক দিন ধরে ইমন গ্রুপের লোকজন সেখানকার ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। চাঁদা না দেওয়ায় একজন ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখমের ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির নেতা এহতেশামুল হকের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হামলায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ কর্মকর্তা তারিক লতিফ আরও বলেন, ব্যবসায়ী এহতেশামুল হকের ওপর হামলার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে চাঁদাবাজি বা ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ হামলা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

Comments

Popular posts from this blog

এক্ষুনি কাজি ডাকেন, আজই ওদের বিয়ে দেব..

  ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। সেই সময় মহাখালী ডিওএইচএসের ৩১ নম্বর রোডে থাকতেন ওমর সানী আর মৌসুমী থাকতেন ৩২ নম্বর রোডে। তখন তুমুল গুঞ্জন উঠেছিল ওমর সানী ও মৌসুমীর প্রেম-বিয়ে নিয়ে। কিন্তু তখনো তাঁরা বিয়ে করেননি। তবে দুই পরিবারের সদস্যরা এ গুঞ্জন সম্পর্কে জানতেন। তখন বিয়ে নিয়ে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এলেন মৌসুমীর নানি ও ওমর সানীর মা। সে ঘটনাও ছিল বেশ মজার। মৌসুমীর শুটিংয়ে মাঝেমধ্যে তাঁর নানি আসতেন। এভাবেই ওমর সানীর মায়ের সঙ্গে মৌসুমীর নানির পরিচয়। এ পরিচয় থেকেই ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই দুই নায়ক–নায়িকার মা ও নানির মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হতো। তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো ছিল। তাঁরা ছেলে ও নাতনির প্রেমের গুঞ্জন শুনে সম্পর্ক জোড়া দিতে এগিয়ে আসেন। তত দিনে ওমর সানীর মা মৌসুমীকে ভীষণ পছন্দ করে ফেলেছেন। অন্যদিকে মৌসুমীর কাছে ওমর সানীর প্রশংসা করতেন তাঁর নানি। এভাবে দুই তারকার মধ্যে প্রেমটা আরও বেড়ে যায়। ওমর সানী ও মৌসুমী ছবি: ফেসবুক এদিকে মৌসুমীর মা কখনোই চাইতেন না সিনেমার কেউ তাঁর মেয়েকে বিয়ে করুক। তিনিও একসময় রাজি হন। কারণ, মৌসুমীর নানিই ছিলেন দুই পরিবারের মূল মধ্যস্থতাকারী। তাঁকে পছন্দ করতেন সবা...

আগুন দেওয়া হয়েছে ৩২ নম্বরে, নেওয়া হয়েছে ক্রেন

  ভাঙচুরের এক পর্যায়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলায় আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেখানে আগুন দেওয়া হয়। এর মধ্যে চলছে ভাঙচুর। রাত ১১টার সময়ও সেখানে আগুন জ্বলছে। ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাত পৌনে ১১টার দিকে সেখানে বড় একটি ক্রেন আনা হয়েছে। পরে সেখানে আরেকটি এক্সকাভেটর নেওয়া হয়েছে। ৩২ নম্বরের এই বাড়ির পাশের একটি ভবনের এক পাশেও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে এই ক্রেন। আজ বুধবার রাতে ছবি: ড্রিঞ্জা চাম্বুগং ৩২ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলা ও দোতালায় অনেক মানুষ রয়েছেন। বাড়িটির দেয়াল ভাঙছেন কেউ কেউ। অনেকে হাতুড়ি বা লাঠি দিয়ে বাড়িটির সীমানাদেয়াল ভাঙছেন। কিছু মানুষকে জানালার গ্রিল, কাঠ এসব নিয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেক মানুষ বাড়িটির সামনে আসছেন, কিছুক্ষণ দেখে, ছবি তুলে ও ভিডিও করে কেউ কেউ চলে যাচ্ছেন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয়েছে ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ রাত ১১টার সময়ও বাড়িটির সামনে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান করছেন। তাঁরা স্বৈরাচারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন...